ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Photo: Bangladesh Prime minister Sheikh Hasina

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

দলীয় সভাপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,  ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ৩২ নম্বর।



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ সোমবার । বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা এই অনন্য দিন। 
১৯৭১ সালে অগ্নিঝড়া এই মাসে কবি শুনিয়েছিলেন তার কবিতাটা নি। তার বজ্র কন্ঠের নিনিদে বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। তার অঙ্গুলিহেলনে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। 

খাল খাল মানুষ গগনবিদারী স্লোগানের উদ্যমতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত পত করে উড়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল সবুজের পতাকা। উত্থিত হয়েছিল শপথের লাখো মুষ্টি।

তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তালজনসমুদ্রে হেকেছিলেন-- 'এবারের সংগ্ৰাম আমাদের মুক্তির সংগ্ৰাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণি দিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে ৭ই মার্চ একটি স্বরণীয় দিন। ১৯৭১ সালে এইদিনে তত্কালীন রেসকোর্সে ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্র কন্ঠে মে কালজয়ী ভাষন দিয়েছিলেন, তার মধ্যেই নিহত ছিল মুক্তির ডাক।
এ ভাষণর কারণে বিশ্বখ্যাত নিউজ উইক ম্যাগাজিন ১৯৭১ সালে ৫ এপ্রিল সংখ্যায় বঙ্গবন্ধু কে 'পয়েন্ট অব পলেটিক্স' হিসেবে অভিহিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধু শুধু আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা কামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিশাল গৌরব এর বিষয়। ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত এদেশে এই ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল- যেমনটি করেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদা অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির জন্য এ মহান মন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়- বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post